https://www.facebook.com/isratjahan.pollobi.7
“মা”
আনিসুল হক
(৪মার্চ১৯৬৫ সালে,রংপুর নীলফামারীততে জন্ম)
“মা” ইংরেজিতে”ফ্রিডম’স মাদার ” নামে অনুদিত হয়ে দিল্লি থেকে প্রকাশিত হয়।পাশাপাশি উড়িষ্যা থেকেও ওডিশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
” আজাদ ” বইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।আজাদ ছিল তার মায়ের একমাত্র সন্তান। আজাদের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় বালক আজাদকে নিয়ে তার মা স্বামী গৃহ-অর্থ-বিত্ত ত্যাগ করে আলাদা হয়ে যান।মা বড় কষ্ট করে ছেলেকে লেখাপড়া করান।আজাদ এম এ পাশ করে।এই সময় দেশে শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ।আজাদের বন্ধুরা যোগ দেয় ঢাকার আরবান গেরিলা দলে।আজাদ মা কে বলে,আমিও যুদ্ধ করতে যাব।মা তাকে অনুমতি দেন।ছেলে যুদ্ধে যায়। ১৯৭১ সালে ৩০ আগষ্ট একরাতে ঢাকার অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিবাসে হামলা চালায় পাকিস্তানি সৈন্যরা।আরো অনেকের সঙ্গে ধরা পরে রুমী,বদি,আলতাফ মাহমুদ,জুয়েল এবং আজাদ। আজাদের উপর পাকিস্তানিরা প্রচণ্ড অত্যাচার চালিয়েও কথা বের করতে পারে না।তখন তার মা কে বলা হয়,ছেলে যদি সবার নাম-ধাম বলে দেয় তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।আজাদের মা ছেলের সাথে দেখা করেন,ছেলেকে বলেন শক্ত থেকো, কারো নাম বলে দিও না।আজাদ বলে, মা দুদিন ভাত খাই না, ভাত নিয়ে এসো। মা পরদিন ভাত নিয়ে হাজিরহন বন্দিশিবিরে,কিন্তু ছেলের দেখা আর মেলে না।আর কোনোদিনও ছেলে ফিরে আসে নাই,মা আর জীবনে কোনদিন ভাত খান নাই।যুদ্ধের ১৪ বছরপর মা মারা যান,নিঃস্ব,রিক্ত-বেশে।মুক্তিযোদ্ধারা তাকে কবরে শায়িত করলে আকাশ থেকে ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে বৃষ্টি।
আজাদ একদিন তার চিঠিতে মাকে লিখেছিল”যদি আমি পৃথিবীতে তোমার দোয়ায় বড় বা নামকরা হতে পারি,তবে পৃথিবীর সবাই কে জানাবো তোমার জীবনী, তোমার কথা” আজাদের অপূর্ণ ইচ্ছা পূর্ণ অসম্ভব কাজটি সমম্ভব করেন আনিসুল হক;আজাদের মায়ের সবাইকে জানান, আজাদের মায়ের জীবনী রচনা করেন।