উপন্যাস : হাজার বছর ধরে।
লেখক :প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার ” জহির রায়হান”।
প্রথম প্রকাশনা: ১৯৬৪ সাল।

এই উপন্যাসটি আমাদের দেশের ঊনিশ শতকের গ্রাম বাংলার চিত্র তুলে ধরেছে। এটিতে মূলত তখনকার সময়ের সামাজিক আচার আচরণ, বাল্য বিবাহ প্রথা, গ্রামের বিনোদন, কুসংস্কার ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে।

গল্পটির শুরুতে ” কাষেম শিকদার” নামে একজন ব্যাক্তি পরীর দিঘির পারে বসবাসের আবির্ভাব ঘটায়।তাকে কেন্দ্র করে সেখানে গরে উঠে লোকালয় আর শিকদার বাড়ি।মকবুল নামে একজন বৃদ্ধ তার তিন স্ত্রি, সন্তান এবং সিরাজ, আবুল, ফকিরের মা সহ বসবাস করত আরও অনেকেই।গল্পটির মুল চরিত্র ছিল মন্তু ও টুনি।পরাতুন গ্রামবাংলার নিদর্শন হিসেবে জীবন যাত্রার মান ছিলো অতিব সাধারণ। সুখ-দুঃখ , চাওয়া-পাওয়া, প্রেম-ভালোবাসা সবকিছু দিয়ে পরিপুরন থাকা সত্তেও অভাব ছিল নারিদের প্রতি মায়া-মমতা আর সহানুভূতির।নারীরা ছিলো একধরনের পুরুষের ইচ্ছেঘুরি।তখনকার সমাজে পুরুষরা একাধিক বিবাহে আবদ্ধ থাকতো এবং বিবাহ বিচ্ছেদ আর নারী নির্যাতন ছিলো নিত্তনৈমেত্তিক ঘটনা।নারীদেরকে দিয়ে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করানো হতো।প্রচলন ছিলো তাবিজ কবজ আর ঝাড়ফুকের।উপন্যাসটিতে জমি- জমা ও সম্পদ নিয়ে লোভ- লালোসার ঘাটতি ছিলো না,যার কারনে প্রান হারিয়েছিল মকবুল বৃদ্ধ।সময়ের স্রোতে কিভাবে একটা চঞ্চল প্রাণবন্ত মেয়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয় সমাজের সাথে, যা টুনির চরিত্রে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

পরিশেষে বলা যায়, “হাজার বছর ধরে” উপন্যাস এর জীবন ধারা বয়ে চলেছিল আবহমান।সবকিছুর পরিবর্তন হয় শুধু পরিবর্তন আসে না কুসংস্কারাচ্ছন্ন গ্রাম বাংলার আলোচিত সমাজের।