জেন্ডার সমতা কি ?

জেন্ডার সমতা কি বলতে এটা লিঙ্গের সাম্যতা নামেও পরিচিত, জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করে সমাজের সুযোগ সুবিধা কিছু যেমন অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহ বিভিন্ন আচরণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সমানভাবে মূল্যায়ন  লিঙ্গ নির্বাচন নির্বিশেষে সবার সমান অংশগ্রহণ ।

ইউনিসেফ এর মতে জেন্ডার সমতা কি

জেন্ডার সমতা  “অর্থ নারী ও পুরুষ, মেয়ে ও ছেলে, একই অধিকার, সম্পদ, সুযোগ এবং সুরক্ষা ভোগ করবে এটা নিশ্চিত করতে মেয়ে এবং ছেলে,  বা নারী ও পুরুষদের  চিহ্নিত করতে হবে না, সবার প্রতি একই আচরণ করতে হবে ।

জেন্ডার সমতা কি বা জেন্ডার ইকুয়ালিটি  বলতে সমাজে নারী-পুরুষের একই সাথে সঠিক ভূমিকা ও সমস্যা মূল্যায়নকে নিশ্চিত করণ কে বোঝায়। অর্থাৎ সমাজের নারী-পুরুষ বা ছেলে মেয়ে এর চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে পারিবারিক সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমস্যামূল্যায়নের প্রবণতাকে বোঝায়।

জেন্ডার ইক্যুইটি বা জেন্ডার সমতা দ্বারা জেন্ডার ন্যায়পরায়ণতা বা নিরপেক্ষতা বোঝায়। জেন্ডার সাম্য হচ্ছে নারী ও পুরুষকে ন্যায় এর দৃষ্টিতে দেখার একটি প্রক্রিয়া। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নের সুফল এবং দায়িত্ব প্রদান ও বন্টনের ক্ষেত্রে একটি ন্যায়ভিত্তিক আংশীদারিত্ব প্রদান করা। এর মানে হচ্ছে যাদের চাহিদার তুলনায় সম্পদ বা প্রাপ্যতার সুযোগ কম আছে তাদেরকে প্রয়োজন অনুসারে সম্পদ ভাগ দেয়া। অর্থাৎ বিশেষভাবে বঞ্চিত কোন গোষ্ঠিকে সম্পদ, সুযোগ ও অধিকার প্রদান করা এবং প্রয়োজনে বিশেষ পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীর সামাজিক ও ঐতিহাসিক বঞ্চনার ক্ষতিপূরণ করা। সমাজের প্রচলিত বঞ্চনা ও অসম ব্যবস্থার প্রভাবে নারী-পুরুষ সমাজে সমভাবে ভূমিকা পালনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, মনে রাখতে হবে, জেন্ডার সাম্য হচ্ছে জেন্ডার সমতা অর্জনের একটি প্রক্রিয়া। জেন্ডার সাম্য এর অর্থ নারী ও পুরুষের চাহিদা অনুযায়ী অধিকার সুযোগ সুবিধা ও দায়িত্বগত দিক থেকে সমতুল্য সুযোগ যা নারী ও পুরুষদের একই ধরনের কাজে ঐতিহাসিক ও সামাজিকভাবে সৃষ্ট অসুবিধাসমূহ দূরে করে পরিপূরক মূলক স্বচ্ছ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

অর্থাৎ জেন্ডার ইকুয়ালিটি বা সাম্য বলতে সমাজে নারী পুরুষের চাহিদা অধিকার সুজগ-সুবিধা অনুযায়ী দায়িত্ব দিয়ে সমতুল্য করে তোলার চেতনাকে বোঝায়। এর মাধ্যমে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নারী-পুরুষরে জেন্ডার ভিত্তিক কাজে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো দূর করে সমান সুযোগ সুবিধা দিয়ে জেন্ডার ন্যায় প্রায়নতা স্বচ্ছ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়।

জেন্ডার সমতা সূচকে বড় অগ্রগতি বাংলাদেশের

নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবস্থানের বড় অগ্রগতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার উপরে রয়েছে।
 
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম প্রকাশিত বৈশ্বিক লিঙ্গ বিভাজন সূচক (গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স) প্রতিবেদন ২০১৭-তে বাংলাদেশের অবস্থান উঠে এসেছে ৪৭তম অবস্থানে। গেলো বছর ২০১৬-র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭২তম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে এই সূচকে বাংলাদেশ ২৫ ধাপ এগিয়েছে